বিষয়: অতীত ও ঐতিহ্য
অধ্যায় ২: আঞ্চলিক শক্তির উত্থান (প্রকল্প নোটস)
মূল ধারণা ও প্রশ্নাবলী
১. অষ্টাদশ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অবনতির দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর: অষ্টাদশ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অবনতির দুটি প্রধান কারণ হলো:
- সামরিক ব্যবস্থার দুর্বলতা: মুঘল সম্রাটরা কোনো সামরিক সংস্কার করেননি, ফলে দুর্বল সামরিক ব্যবস্থা সাম্রাজ্যের ভেতরের বিদ্রোহ (যেমন – মারাঠা) বা বাইরের আক্রমণ (যেমন – নাদির শাহের আক্রমণ) মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়।
- জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থার সংকট: ভূমি রাজস্বের হিসাবে গরমিল, ভালো জায়গির পাওয়ার জন্য অভিজাতদের মধ্যে দলাদলি এবং সম্রাট ও অভিজাতদের ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রতি মনোযোগ সাম্রাজ্যের শাসন কাঠামোকে দুর্বল করে দেয়।
২. অষ্টাদশ শতকে প্রধান তিনটি আঞ্চলিক শক্তি কী কী ছিল এবং তাদের প্রতিষ্ঠাতারা কে কে ছিলেন?
উত্তর: অষ্টাদশ শতকে প্রধান তিনটি আঞ্চলিক শক্তি এবং তাদের প্রতিষ্ঠাতারা হলেন:
- বাংলা: প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুর্শিদকুলি খান।
- হায়দরাবাদ: প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি (উপাধি: নিজাম-উল-মুলক, আসফ ঝা)।
- অযোধ্যা: প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সাদাৎ খান (উপাধি: বুরহান-উল মুলক)।
৩. ‘জগৎ শেঠ’ কারা ছিলেন? বাংলার রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: ‘জগৎ শেঠ’ কোনো একজন ব্যক্তির নাম নয়, এটি ছিল মুর্শিদাবাদের একটি ধনী বণিক পরিবারের বংশানুক্রমিক উপাধি। ফতেহচাঁদ মুঘল সম্রাটের থেকে এই উপাধি পান।
ভূমিকা: বাংলার অর্থনীতিতে জগৎ শেঠদের বিপুল প্রভাব ছিল। সুবা বাংলার কোষাগার ও টাঁকশাল তাদের পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে চলত। মুর্শিদাবাদের নবাবের দরবারেও তাদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। আলিবর্দি খানের ক্ষমতা দখলে এবং পরবর্তীকালে পলাশির যুদ্ধের আগে সিরাজ-বিরোধী চক্রান্তে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে জগৎ শেঠদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
৪. ‘বর্গি হানা’ বলতে কী বোঝো? এর ফলাফল কী হয়েছিল?
উত্তর: নবাব আলিবর্দি খানের শাসনকালে (১৭৪২-১৭৫১ খ্রিঃ) মারাঠা (‘বর্গি’) অশ্বারোহী বাহিনী বাংলা ও উড়িষ্যার বিভিন্ন অঞ্চলে লুঠতরাজ ও আক্রমণ চালিয়েছিল। এই ঘটনা ‘বর্গি হানা’ নামে পরিচিত।
ফলাফল: এর ফলে বাংলার পশ্চিমপ্রান্তের বহু মানুষ পূর্ব বাংলা এবং কলকাতায় পালিয়ে আসে। অনেকে ব্রিটিশ কোম্পানির কাছে আশ্রয় নেয়, ফলে কোম্পানি ‘রক্ষাকারী’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এই হানা রোখার জন্য কলকাতায় ‘মারাঠা খাল’ খোঁড়া হয়েছিল।
৫. ‘ফাররুখশিয়রের ফরমান’ (১৭১৭) কী? এর গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তর: ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলায় কিছু বিশেষ বাণিজ্যিক অধিকার দিয়ে একটি আদেশ বা ‘ফরমান’ জারি করেন।
এই ফরমানের প্রধান শর্তগুলি ছিল:
- ব্রিটিশ কোম্পানি বছরে মাত্র ৩,০০০ টাকার বিনিময়ে বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য করতে পারবে।
- কোম্পানি কলকাতার কাছাকাছি ৩৮টি গ্রামের জমিদারি কিনতে পারবে।
- কোম্পানির জাহাজের সঙ্গে অনুমতিপত্র (দস্তক) থাকলেই তা অবাধে বাণিজ্য করতে পারবে।
- কোম্পানি প্রয়োজনমতো মুর্শিদাবাদের টাঁকশাল ব্যবহার করতে পারবে।
গুরুত্ব: এই ফরমান বাংলায় ব্রিটিশ কোম্পানির প্রায় অবাধ বাণিজ্যের পথ খুলে দেয় এবং এটিই পরবর্তীকালে বাংলার নবাবের (বিশেষত মুর্শিদকুলি ও সিরাজের) সঙ্গে কোম্পানির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের মূল পটভূমি তৈরি করেছিল।
৬. ‘দস্তক’ কী? নবাবের সঙ্গে কোম্পানির বিরোধে এর ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: ‘দস্তক’ ছিল ফাররুখশিয়রের ফরমান অনুযায়ী কোম্পানিকে দেওয়া একটি ছাড়পত্র বা অনুমতিপত্র। এই ছাড়পত্র দেখালে কোম্পানির পণ্যবাহী জাহাজকে কোনো শুল্ক দিতে হতো না।
বিরোধের কারণ: ফরমান অনুযায়ী এই ছাড় শুধু কোম্পানির বাণিজ্যের জন্য প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু কোম্পানির কর্মচারীরা নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসাতেও এই ‘দস্তক’-এর অপব্যবহার করে শুল্ক ফাঁকি দিতে শুরু করে। এর ফলে দেশীয় বণিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নবাব প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হন। এই কারণেই মুর্শিদকুলি খান থেকে সিরাজ-উদ-দৌলা পর্যন্ত সকল নবাবের সঙ্গে কোম্পানির বিরোধ তৈরি হয়।
৭. ‘অন্ধকূপ হত্যা’ (Black Hole Tragedy) কী? এই ঘটনার ঐতিহাসিকতা সম্পর্কে কী বলা হয়?
উত্তর: ‘অন্ধকূপ হত্যা’ হলো নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার কলকাতা আক্রমণ (১৭৫৬) সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত ঘটনা।
ঘটনা: ব্রিটিশ কোম্পানির কর্তা হলওয়েল প্রচার করেছিলেন যে, কলকাতা দখলের পর নবাব নাকি ১৪৬ জন ব্রিটিশ নরনারীকে একটি ছোট (১৮ ফুট x ১৮ ফুট) ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন, যার ফলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অনেক বন্দি মারা যায়।
ঐতিহাসিকতা: এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে। ঐতিহাসিক অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে এটি একটি অতিরঞ্জিত বা কাল্পনিক ঘটনা।
- হলওয়েলের বর্ণিত মাপের ঘরে ১৪৬ জন মানুষকে রাখা অসম্ভব।
- সমসাময়িক অন্যান্য ব্রিটিশ নথি, ক্লাইভ বা ওয়াটসনের চিঠিপত্র, বা আলিনগরের সন্ধির কোনো দলিলে এই ঘটনার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না।
- হলওয়েল নিজেই ছিলেন এর প্রথম প্রচারক। সম্ভবত সিরাজকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে এটি প্রচার করা হয়েছিল।
৮. ‘আলিনগরের সন্ধি’ (১৭৫৭) কাদের মধ্যে এবং কেন স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর: ‘আলিনগরের সন্ধি’ (৯ ফেব্রুয়ারি, ১৭৫৭) বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
প্রেক্ষাপট: নবাব কলকাতা দখল করে তার নাম ‘আলিনগর’ রাখলেও, রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী দ্রুতই কলকাতা পুনর্দখল করে নেয় (ফেব্রু. ১৭৫৭)। এই পরিস্থিতিতে নবাব বাধ্য হয়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে এই অসম্মানজনক সন্ধি স্বাক্ষর করেন। এই সন্ধির ফলেই কোম্পানি কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ ও নিজেদের মুদ্রা তৈরির অধিকার পায়।
৯. ‘পলাশির লুণ্ঠন’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধের পর মির জাফরকে বাংলার নবাব করার বিনিময়ে রবার্ট ক্লাইভ সহ কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা প্রভূত ব্যক্তিগত সম্পদ ও অর্থ আত্মসাৎ করেন।
কোম্পানি নবাবের থেকে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে। এর পাশাপাশি ক্লাইভ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা নবাবের থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে উপহার নেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ মির জাফরের থেকে কোম্পানি আদায় করে। এর ফলে নবাবের কোষাগার প্রায় শূন্য হয়ে যায়। কোম্পানির এই অর্থ আত্মসাৎকেই “পলাশির লুণ্ঠন” বলা হয়।
চিত্র: পলাশির লুণ্ঠন। নবাবের কোষাগার থেকে সম্পদ কোম্পানি ও তার কর্মচারীদের হাতে চলে যায়।
১০. মির জাফরকে সরিয়ে মির কাশিমকে কেন নবাব করা হয়েছিল?
উত্তর: পলাশির লুণ্ঠনের ফলে নবাব মির জাফরের কোষাগার শূন্য হয়ে গিয়েছিল। তিনি ব্রিটিশ কোম্পানির ক্রমাগত অর্থনৈতিক দাবি মেটাতে পারছিলেন না (অপারগ ছিলেন)। এই কারণেই ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি মির জাফরকে সরিয়ে তাঁর জামাই মির কাশিমকে বাংলার নবাব পদে বসায়।
১১. বক্সারের যুদ্ধের (১৭৬৪) গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তর: বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব পলাশির যুদ্ধের চেয়েও বেশি ছিল।
- পলাশির যুদ্ধ ছিল মূলত ষড়যন্ত্র, কিন্তু বক্সারের যুদ্ধ ছিল প্রকৃত সামরিক শক্তির জয়।
- এই যুদ্ধে মির কাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজা উদ-দৌলা এবং মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের মিলিত বাহিনী পরাজিত হয়।
- এর ফলে শুধু বাংলার উপর নয়, প্রায় সমগ্র উত্তর ভারতের উপর কোম্পানির রাজনৈতিক ও সামরিক আধিপত্য সুনিশ্চিত হয়।
- এই যুদ্ধের ফলেই কোম্পানি ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানি লাভ করে।
১২. ‘দেওয়ানি লাভ’ (১৭৬৫) বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ‘দেওয়ানি’ একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ রাজস্ব আদায়ের অধিকার। ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর, ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম একটি ফরমানের মাধ্যমে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের আইনি অধিকার দেন। এটিই ‘দেওয়ানি লাভ’ নামে পরিচিত।
১৩. ‘দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা’ (Dual System) কী? এর ফলাফল কী হয়েছিল?
উত্তর: ১৭৬৫ সালে দেওয়ানি লাভের পর বাংলায় যে অদ্ভুত শাসনব্যবস্থা চালু হয়, তাকে ‘দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা’ বলে।
এই ব্যবস্থার দুটি দিক ছিল:
- কোম্পানির হাতে: অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার (দেওয়ানি)। অর্থাৎ কোম্পানির হাতে ছিল ‘দায়িত্বহীন ক্ষমতা’।
- নবাবের হাতে: রাজনৈতিক ও নিজামতের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষার) দায়িত্ব। কিন্তু রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা না থাকায় নবাবের হাতে ছিল ‘ক্ষমতাহীন দায়িত্ব’।
চিত্র: দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা (১৭৬৫-১৭৭২)। ক্ষমতা ও দায়িত্ব পৃথক হয়ে যায়।
ফলাফল: এই ব্যবস্থার ফলে কোম্পানির একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় যত বেশি সম্ভব রাজস্ব আদায় করা। নবাবের হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা না থাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। এর চূড়ান্ত পরিণতি ছিল ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ (বাংলা ১১৭৬), যা ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত।
১৪. ‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’ কে, কেন প্রবর্তন করেন?
উত্তর: ‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’ প্রবর্তন করেন গভর্নর-জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি (১৭৯৮-১৮০৫)।
কারণ: এই নীতির মাধ্যমে ওয়েলেসলি দেশীয় রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এর আসল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের বদলে পরোক্ষভাবে দেশীয় রাজ্যগুলিকে কোম্পানির অধীনে নিয়ে আসা এবং ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটানো। হায়দরাবাদের নিজাম প্রথম এই নীতি মেনে নেন।
১৫. ‘স্বত্ববিলোপ নীতি’ কী?
উত্তর: ‘স্বত্ববিলোপ নীতি’ (Doctrine of Lapse) প্রবর্তন করেন গভর্নর-জেনারেল লর্ড ডালহৌসি (১৮৪৮-৫৬)।
নীতি: এই নীতি অনুযায়ী, কোনো ব্রিটিশ-আশ্রিত দেশীয় রাজ্যের শাসকের কোনো পুরুষ উত্তরাধিকারী না থাকলে, সেই রাজ্যটি সরাসরি কোম্পানির দখলে চলে যেত (অর্থাৎ ‘স্বত্ব’ বা অধিকার ‘বিলোপ’ ঘটত)। এই নীতির মাধ্যমে ডালহৌসি সাতারা, সম্বলপুর, ঝাঁসি, নাগপুর প্রভৃতি রাজ্য দখল করে নেন।
১৬. ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ কেন হয়েছিল? এর ফলাফল কী হয়?
উত্তর: অষ্টাদশ শতকে হায়দর আলি ও তাঁর পুত্র টিপু সুলতানের নেতৃত্বে মহীশূর দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছিল। তাদের সেনাবাহিনী ইউরোপীয় কায়দায় প্রশিক্ষিত ছিল।
যুদ্ধের কারণ:
- মহীশূরের আঞ্চলিক বিস্তার ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ব্রিটিশ কোম্পানির স্বার্থে আঘাত করে।
- টিপু সুলতান ফরাসিদের সঙ্গে মিত্রতা করেন, যা ব্রিটিশরা বিপদ হিসেবে দেখে।
- টিপু সুলতান লর্ড ওয়েলেসলির ‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’ মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
ফলাফল: ১৭৬৭ থেকে ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চারটি ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ হয়। ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ যুদ্ধে রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্তম রক্ষা করতে গিয়ে টিপু সুলতান মারা যান। এর ফলে মহীশূর রাজ্যের পতন ঘটে এবং সেখানে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রয়োগ করে ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়।