Lesson: The Great Escape

Looking pale and thin, with a bushy half-grown beard, Subhas was reclining on his pillows when Sisir, his nephew, entered Subhas’s bedroom that December afternoon. Subhas made him sit to his right on the bed. Looking intensely at Sisir, he said, “Can you do some work for me?”

ফ্যাকাশে ও পাতলা দেখাচ্ছিল, ঘন অর্ধ-বড় দাড়ি নিয়ে, সুভাষ তার বালিশে হেলান দিয়েছিলেন যখন তার ভাইপো শিশির সেই ডিসেম্বরের বিকেলে সুভাষের শোবার ঘরে প্রবেশ করল। সুভাষ তাকে বিছানায় তার ডানদিকে বসতে বললেন। শিশিরের দিকে তীব্রভাবে তাকিয়ে তিনি বললেন, “তুমি কি আমার জন্য কিছু কাজ করতে পারবে?”

The task, as it turned out, was to help plan and carry out Subhas’s escape from India. Sisir would have to drive his uncle, in the dead of the night, to a railway station far away from Calcutta.

কাজটি ছিল, সুভাষের ভারত থেকে পালানোর পরিকল্পনা এবং তা কার্যকর করতে সাহায্য করা। শিশিরকে তার কাকাকে গভীর রাতে কলকাতা থেকে অনেক দূরে একটি রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যেতে হবে।

From his uncle’s residence at Elgin Road, Sisir walked back that night to his own house at 1, Woodburn Park in a state of wonder and subdued excitement.

এলগিন রোডে তার কাকার বাড়ি থেকে, শিশির সেই রাতে বিস্ময় এবং চাপা উত্তেজনায় তার নিজের বাড়ি ১, উডবার্ন পার্কে ফিরে গেল।

The police were keeping watch on Subhas’s house. Though it was normal for a nephew to visit an ailing uncle, Subhas had an additional excuse for meeting his nephew. Sisir was good at operating the radio. He helped Subhas listen to foreign broadcasts.

পুলিশ সুভাষের বাড়ির উপর নজর রাখছিল। যদিও একজন ভাইপোর অসুস্থ কাকার সাথে দেখা করাটা স্বাভাবিক ছিল, সুভাষের তার ভাইপোর সাথে দেখা করার জন্য একটি অতিরিক্ত অজুহাত ছিল। শিশির রেডিও চালনায় দক্ষ ছিল। সে সুভাষকে বিদেশী সম্প্রচার শুনতে সাহায্য করত।

Subhas and Sisir discussed various means of escape. Finally, they decided to drive out, in the most natural fashion, through the main gate. Sisir owned a German car called the Wanderer, which he and Subhas chose for their journey.

সুভাষ এবং শিশির পালানোর বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করল। অবশেষে, তারা প্রধান গেট দিয়ে সবচেয়ে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। শিশিরের একটি জার্মান গাড়ি ছিল যার নাম ওয়ান্ডারার, যেটি সে এবং সুভাষ তাদের যাত্রার জন্য বেছে নিয়েছিল।

Subhas had cabled Akbar Shah to meet him at Calcutta. Akbar Shah was a coworker in the freedom struggle against British Raj. He operated in the north-western frontier provinces. He was to help Subhas escape.

সুভাষ আকবর শাহকে কলকাতায় তার সাথে দেখা করার জন্য তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। আকবর শাহ ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন সহকর্মী ছিলেন। তিনি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে কাজ করতেন। তার সুভাষকে পালাতে সাহায্য করার কথা ছিল।

Akbar Shah came to Calcutta. He was introduced to Sisir. Together they went to a shop in Central Calcutta where they purchased baggy shalwars (trousers) and a black fez for Subhas’s disguise. Later, Sisir also purchased a suitcase, a bedroll, shirts and pillows. Subhas was to carry these with him in the journey.

আকবর শাহ কলকাতায় এলেন। তাকে শিশিরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। তারা একসাথে মধ্য কলকাতার একটি দোকানে গেলেন যেখান থেকে তারা সুভাষের ছদ্মবেশের জন্য ঢিলেঢালা সালোয়ার (পাজামা) এবং একটি কালো ফেজ কিনলেন। পরে, শিশির একটি সুটকেস, একটি বেডরোল, শার্ট এবং বালিশও কিনল। সুভাষ এই জিনিসগুলো তার যাত্রায় সঙ্গে নিয়ে যাবেন।

Sisir then went to a printer’s shop. He ordered a set of calling cards which read: ‘Muhammad Ziauddin, Travelling Inspector, the Empire of India Life Insurance Co. Ltd.’ This was the false identity with which Subhas was to travel.

এরপর শিশির একটি ছাপাখানার দোকানে গেল। সে এক সেট কলিং কার্ডের অর্ডার দিল যাতে লেখা ছিল: ‘মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ট্র্যাভেলিং ইন্সপেক্টর, দ্য এম্পায়ার অফ ইন্ডিয়া লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেড।’ এই মিথ্যা পরিচয়েই সুভাষ ভ্রমণ করবেন।

On 16th January, 1941, Sisir finished his dinner early and drove to Elgin road around 8.30 pm. He parked the Wanderer at the back of the house. Subhas and Sisir waited until the rest of the Bose family had fallen asleep.

১৯৪১ সালের ১৬ই জানুয়ারি, শিশির তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করে রাত সাড়ে আটটার দিকে এলগিন রোডে গাড়ি চালিয়ে গেল। সে ওয়ান্ডারার গাড়িটি বাড়ির পিছনে পার্ক করল। সুভাষ এবং শিশির বসু পরিবারের বাকি সদস্যরা ঘুমিয়ে না পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল।

Subhas had changed into his disguise as Muhammad Ziauddin. He was dressed in a long, brown coat, baggy shalwars and a black fez. He wore gold wire-rimmed spectacles. It was 1.35 am. The night was moonlit. Dwijen signalled from an upstairs window that no policeman was nearby.

সুভাষ মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে পরিবর্তিত হয়েছিলেন। তিনি একটি লম্বা, বাদামী কোট, ঢিলেঢালা সালোয়ার এবং একটি কালো ফেজ পরেছিলেন। তিনি সোনার তার-বাঁধানো চশমা পরেছিলেন। তখন রাত ১টা ৩৫ মিনিট। রাত ছিল জ্যোৎস্না ভরা। দ্বিজেন ওপরের তলার জানালা থেকে ইশারা দিল যে কাছাকাছি কোনো পুলিশ নেই।

Subhas and Sisir hugged the inner wall of the long house-corridor and tiptoed down the back stairs to the car. Subhas sat in the back, Sisir drove the car. He started the engine and drove out from 38 / 2 Elgin Road as he had done on so many past occasions.

সুভাষ এবং শিশির লম্বা বাড়ির করিডোরের ভেতরের দেয়াল ঘেঁষে পা টিপে টিপে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে গাড়ির কাছে গেল। সুভাষ পিছনে বসলেন, শিশির গাড়ি চালাল। সে ইঞ্জিন চালু করে ৩৮/২ এলগিন রোড থেকে বেরিয়ে গেল, যেমনটা সে অতীতে অনেকবার করেছে।

At Subhas’s Elgin Road residence, the light glowed in his bedroom to give the impression that he was still there. As Calcutta slept, uncle and nephew crossed Howrah Bridge and went beyond the city’s precincts. Subhas poured Sisir coffee from a thermos. They shared a few anxious moments together when the car engine faltered once. It started again and Sisir dashed at high speed through the dark night.

সুভাষের এলগিন রোডের বাসভবনে, তার শোবার ঘরে আলো জ্বলছিল যাতে মনে হয় তিনি এখনও সেখানেই আছেন। যখন কলকাতা ঘুমিয়ে ছিল, কাকা ও ভাইপো হাওড়া ব্রিজ পার হয়ে শহরের সীমানা ছাড়িয়ে গেল। সুভাষ একটি থার্মস থেকে শিশিরকে কফি ঢেলে দিলেন। গাড়ির ইঞ্জিন একবার বিগড়ে গেলে তারা একসাথে কিছু উদ্বিগ্ন মুহূর্ত কাটালেন। এটি আবার চালু হলো এবং শিশির অন্ধকার রাতের মধ্যে দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে চলল।

At around 8.30 am, they arrived at Bararee, near Dhanbad. They put up at the house of Sisir’s brother, Ashok. Subhas kept his disguise on as Muhammad Ziauddin, and said he had come on insurance business, and was given a room to rest during the day.

সকাল সাড়ে আটটার দিকে তারা ধানবাদের কাছে বারারিতে পৌঁছাল। তারা শিশিরের ভাই অশোকের বাড়িতে উঠল। সুভাষ মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশেই রইলেন, এবং বললেন যে তিনি বীমার কাজে এসেছেন, এবং দিনের বেলায় বিশ্রামের জন্য তাকে একটি ঘর দেওয়া হলো।

Muhammad Ziauddin left alone for Gomoh station which was some distance away. He wanted to catch the Delhi-Kalka Mail from there. A little further from the house, Sisir picked him up in his Wanderer and drove towards the railway station. They reached Gomoh station in the moonlit night. A sleepy porter collected their luggage.

মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন একাই গোমোহ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন, যা কিছুটা দূরে ছিল। তিনি সেখান থেকে দিল্লি-কালকা মেল ধরতে চেয়েছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, শিশির তাকে তার ওয়ান্ডারারে তুলে নিয়ে রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা দিল। তারা জ্যোৎস্না রাতে গোমোহ স্টেশনে পৌঁছাল। একজন ঘুমন্ত কুলি তাদের মালপত্র সংগ্রহ করল।

“I am off—you go back”, Subhas said as parting words. Sisir watched him mount the railway overbridge and walk across it with his usual majestic gait. He disappeared into the darkness towards the platform on the opposite side. The Delhi-Kalka Mail released steam. Sisir heard the rhythmic clutter of the wheels and saw the train lights moving away.

“আমি চললাম—তুমি ফিরে যাও”, বিদায়বেলায় সুভাষ বললেন। শিশির তাকে রেলওয়ে ওভারব্রিজে উঠতে এবং তার স্বাভাবিক রাজকীয় চালে হেঁটে পার হতে দেখল। তিনি বিপরীত দিকের প্ল্যাটফর্মের দিকে অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। দিল্লি-কালকা মেল বাষ্প ছাড়ল। শিশির চাকার ছন্দময় শব্দ শুনতে পেল এবং ট্রেনের আলোগুলোকে দূরে সরে যেতে দেখল।