পাতাবাহার III - সপ্তম পাঠ

পাতাবাহার III

সপ্তম পাঠ

একা একা থাকতে নেই আরাম হিংসুটি

👥একা একা থাকতে নেই

মূল বিষয়: এই রচনায় সামাজিক জীবনের গুরুত্ব ও মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।

মানুষ সামাজিক জীব। একা একা থাকা মানুষের স্বভাবের বিপরীত। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে পারি, একে অপরের সাহায্য করতে পারি।

পরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি সবাই মিলে থাকি। স্কুলে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করি, পড়াশোনা করি। এভাবেই আমাদের জীবন আনন্দময় হয়।

সামাজিক জীবনের উপকারিতা: একসাথে থাকলে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি। বিপদে-আপদে সাহায্য পাই। আনন্দ-দুঃখ ভাগাভাগি করতে পারি।

যখন আমরা একা থাকি, তখন মন খারাপ হয়। কিন্তু বন্ধুদের সাথে থাকলে সব সময় হাসি-খুশি থাকি। একসাথে খেলা, গান, নাচ - সব কিছুই আনন্দদায়ক।

মিলেমিশে থাকার শিক্ষা: আমাদের শিখতে হবে কীভাবে অন্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হয়। সবার সাথে বন্ধুত্ব করতে হয়। ঝগড়া-বিবাদ এড়িয়ে চলতে হয়।

সমাজে বিভিন্ন ধরনের মানুষ আছে। সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে পারলে জীবন সুন্দর হয়। একা একা থাকলে জীবন নিরানন্দ ও একঘেয়ে হয়ে পড়ে।

সহযোগিতার গুরুত্ব: মিলেমিশে থাকার অর্থ হলো একে অপরকে সাহায্য করা। কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করা। এভাবে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকে।

😴আরাম

আরামের মানসিকতা: এই রচনায় অতিরিক্ত আরামপ্রিয়তা ও কাজের প্রতি অনীহার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হয়েছে।

আরাম করা মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রয়োজন। কিন্তু সব সময় আরাম করতে চাওয়া ভালো নয়। যারা সব সময় আরাম করে, তারা জীবনে কিছুই করতে পারে না।

আরামপ্রিয় মানুষেরা কাজ করতে চায় না। তারা সব সময় বিশ্রাম নিতে চায়। এতে তাদের শরীর ও মন দুটোই অলস হয়ে পড়ে।

অলসতার ক্ষতি: অতিরিক্ত আরাম করলে শরীর দুর্বল হয়। মন অলস হয়। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ কমে যায়। জীবনে উন্নতি করা যায় না।

যারা পরিশ্রম করে, তারাই জীবনে সফল হয়। আরামপ্রিয় মানুষেরা সব সময় অন্যের উপর নির্ভর করে। তারা নিজেরা কিছু করতে পারে না।

কাজের গুরুত্ব: কাজ করলে শরীর সুস্থ থাকে। মন প্রফুল্ল থাকে। নতুন কিছু শেখা যায়। জীবনে আনন্দ পাওয়া যায়।

ছোটবেলা থেকেই কাজ করার অভ্যাস গড়তে হবে। নিজের কাজ নিজে করতে হবে। অন্যের সাহায্য নিতে হবে, কিন্তু সব কিছুর জন্য অন্যের উপর নির্ভর করা যাবে না।

সুস্থ জীবনযাত্রা: পরিমিত আরাম ও পরিশ্রমের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। কাজের পর বিশ্রাম নেওয়া ভালো, কিন্তু সব সময় আরাম করা ক্ষতিকর।

😠হিংসুটি

হিংসার স্বরূপ: এই রচনায় হিংসার ক্ষতিকর প্রভাব ও তার থেকে মুক্তির উপায় দেখানো হয়েছে।

হিংসা একটি খারাপ গুণ। যারা হিংসুক, তারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না। অন্যের সুখ-সমৃদ্ধি দেখে তাদের মন জ্বলে।

হিংসুক মানুষেরা সব সময় অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তারা অন্যের সাফল্য সহ্য করতে পারে না। এতে তাদের নিজেদের মনও খারাপ থাকে।

হিংসার ক্ষতিকর প্রভাব: হিংসা মানুষের মন নষ্ট করে। বন্ধুত্ব নষ্ট করে। পারিবারিক শান্তি নষ্ট করে। সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে।

হিংসুক মানুষদের কেউ পছন্দ করে না। তাদের সাথে কেউ বন্ধুত্ব করতে চায় না। এতে তারা একা হয়ে পড়ে।

ভালোবাসা ও সহযোগিতা: হিংসার বিপরীত হলো ভালোবাসা। অন্যের ভালো দেখে খুশি হওয়া। অন্যের সাফল্যে আনন্দিত হওয়া।

যারা অন্যকে ভালোবাসে, তারা সবার প্রিয় হয়। তাদের চারপাশে সব সময় বন্ধুরা থাকে। তাদের জীবন আনন্দময় হয়।

হিংসা থেকে মুক্তি: হিংসা থেকে মুক্তি পেতে হলে অন্যের ভালো কামনা করতে হবে। নিজের উন্নতির জন্য চেষ্টা করতে হবে। অন্যের সাথে তুলনা না করে নিজের কাজে মনোযোগ দিতে হবে।

সুন্দর মনের অধিকারী: যারা হিংসামুক্ত, তারা সুন্দর মনের অধিকারী। তাদের মন সব সময় প্রশান্ত থাকে। তারা সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে পারে।

BISWAZ GROWTH ACADEMY - Class Menu
BISWAZ GROWTH ACADEMY - Class Menu